মোহাম্মদ বিলাল উদ্দিনঃ ১৫ মার্চ ২০১৮ইং বৃহস্পতিবার কুয়েতের ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকা আবদালিতে সন্ধ্যা ৮ ঘটিকা হতে শুরু হয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ২১শে পদকপ্রাপ্ত মরমী কবি ও বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১০২তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে লোক “উৎসব অনুষ্ঠান ২০১৮” চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।
সংগঠনের সভাপতি ওলিদ মোঃ সেনুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস,এম সুমনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহ্ সগিরুল ইসলাম , কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিল আব্দুল লতিফ খান, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) মোঃজহিরুল ইসলাম খান, শাহ আব্দুল করিম স্মৃতি পরিষদ কুয়েত’র উপদেষ্টা আবুল হাসেম এনাম,জাতীয় পার্টি কুয়েতের সভাপতি ও শাহ আব্দুল করিম স্মৃতি পরিষদ কুয়েতের উপদেষ্টা হাজী মাহমুদ আলী , সংগঠনের উপদেষ্টা লুৎফুর রহমান লুদাই মিয়া, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপদেষ্টা বাবু মিহির কান্তি পাল, সংগঠনের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম ডি আব্দুস সেলিম, কুয়েতস্থ সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি সাফওয়াত হুসেন পাটোয়ারী, দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল আহাদ, অনুষ্ঠান সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আবদালীর প্রবাসী বাংলাদেশীরা, অনুষ্ঠানের ১ম পর্বে কুয়েত এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আত্মদানকারি সকল শহীদদের প্রতি সম্মানে ১মিনিট দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন, বাউল সম্রাটের ১০২তম জন্ম বার্ষিকীর কেক আনুষ্ঠনিক ভাবে কেটে জন্মদিন উদযাপন এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বক্তব্য এবং কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর শুরু হয় অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব।
এর আগে আবদালি প্রবাসী বাংলাদেশীরা রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত তাদের যৌক্তিক দাবী গুলো পূরণের লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে প্রবাসীদেরকে আশ্বস্ত করেন।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে শুরু হয় জমকালো এবং মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের গান সহ বাংলাদেশের বাউল জারি- সারি ভাটিয়ালী -ভাওয়াইয়া মুর্শিদী -পল্লিগিতি-জালালি -দেশাত্ববোধক গান এবং জনপ্রিয় নৃত্য শিল্পী ওয়ার্দী পালের মনোমুগ্ধকর নৃত্য এবং যাদুকরের যাদু, পরিবেশন করে মাতিয়ে রাখেন উপস্থিত দর্শকদের।
শেষে রাতের আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটে এই মিলন মেলার।